যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে অমানবিক ভাবে
নির্যাতন
নওগাঁর মান্দায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। গৃহবধূর বাবা আব্দুর রকিবের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে (৫ অক্টোবরে) পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে তার বাবা শাহজাহান ও মা গুলেছাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের ভারশোঁ গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এই গৃহবধূ জাহিদুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে প্রথম স্ত্রীকেও বিয়ের পর নির্যাতন করে আদালতের মাধ্যমে এক বছর আগে তালাক দেয়। এর কিছুদিন পর এই তরুণীকে বিয়ে করে সে। তবে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নানান ভাবে নির্যাতন করতো জাহিদুল। বিশেষ করে গত তিনদিন থেকে জাহিদুল ও তার বাবা-মা মিলে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করতো।
ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন,যৌতুকের দাবিতে জাহিদুল তার পিঠ, পশ্চাদ্দেশ ও দুই উরুতে ভয়াবহভাবে মারধর করে কালসিটে দাগ ফেলেছে। তার পুরো শরীরজুড়েই এমন ক্ষতচিহ্ন ও মারধরের আঘাত রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান,জাহিদুলের বাড়ি একটু দূরে ফাঁকা জায়গায় হওয়ায় স্থানীয়রা তার মারধরের বিষয়টি আগে বুঝতে পারেননি। তবে গত তিন দিন ধরে ওই নারীর কান্নাকাটি শুনে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তার বাবাকে অবগত করেন।। পরে গৃহবধুর বাবা আব্দুর রকিব এর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে থানা পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী জাহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার বলেন মেয়ের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।